দরুদে রুইয়্যাতে নবী সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলায়হে ওয়াসাল্লাম


আসসালামু আলাইকুম আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছেন। আর আমিও আল্লাহর অশেষ কৃপা ও রহমতে ভালো আছি। অনেক দিন পর আবারো আপনাদের মাঝে একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম। আশা করি আপনারা কিছুটা হলেও উপকৃত হবেন। আর আজ আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো দরুদে রুইয়্যাতে নবী সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলায়হে ওয়াসাল্লামযদি এতে আপনারা উপকৃত হন, তাহলে কমেন্ট করতে ভূলবেননা। আর এই ওয়েবপেইজ এর মাধ্যমে যদি একটুও লাভবান হন, তাহলে ওয়েবপেইজটি আপনার বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করবেন এবং অন্যকে জানার সুযোগ করে দিন।





 اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَليٰ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍنِ النَّبِيِّ اْلاُمِيِّ

وَعَليٰ اٰلِهٖ وَصَحْبِهٖ وَسَلِّمْ



বাংলা উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা সায়্যিদিনা মুহাম্মাদিনিন নাবিয়্যিল উম্মিয়ে ওয়াআলা আ-লিহি ওয়া আসহা-বিহি ওয়া সাল্লিম।

 

অর্থঃ আয় আল্লাহ্‌! আপনি আমাদের প্রিয় নবী মুস্তফা হযরত মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলায়হে ওয়াআলিহি ওয়াসাল্লাম) (স্কুল মাদ্রাসায়) শিক্ষাপ্রাপ্ত হননি, তাঁর উপর ও তাঁর সাহাবাগণের উপর শান্তি বর্ষণ করুণ।

 

ফযিলতঃ 

 

১) গুনিয়াতুত্তালেবীন’ নামক কিতাবে লিখা আছে, জনাবে সরদার দুজাহাঁ (সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলায়হে ওয়াআলিহি ওয়াসাল্লাম) এরশাদ করেছেন – যে ব্যক্তি জুমআ রাতের শেষভাগে দু’রাকাত নফল নামাযে ১ম রাকয়াতে সুরা আল-ফাতিহা ও আয়তুল কুরসী এবং ২য় রাকয়াতে সুরা আল ফাতিহার সাথে ১৫ বার সুরা ইখলাছ মিলিয়ে নামায শেষ করবে এবং তারপর ১০০০ বার এই দরুদ শরীফ পাঠ করে নিদ্রা যাবে, সেই রাতে অবশ্যই স্বপ্নযোগে আমার দর্শনলাভ করবে। যদি একদিনে দর্শন না পায়, তাহলে এক সপ্তাহের চেষ্টায় অবশ্যই পাবে।

 

২) সাধারণ গ্রন্থে লিখা আছে – প্রত্যেক ওয়াক্ত নামায বাদ উক্ত দুরুদ শরীফ ১০০ বার ও এস্তেগফার ১০০ বার অজিফারুপে পাঠ করলে অবশ্যই স্বপ্নে আখেরী নবী (সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলায়হে ওয়াআলিহি ওয়াসাল্লাম) এর দর্শন লাভ করবে। যদি জীবিতকালে না পায়, অন্তত মৃত্যুর সময়ে হুজুর (সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলায়হে ওয়াআলিহি ওয়াসাল্লাম) এসে সাক্ষাৎ দিবেন এবং ঈমান সহকারে মৃত্যু হবে।

 

৩) রাতে শোয়ার সময় দুরুদে রুইয়্যাতে নবী ৩ বার ও এস্তেগফার ৩ বার পাঠ করে নিদ্রা গেলে, এ ব্যক্তি কুস্বপ্ন দেখবে না। এবং তার ঘুম ভাঙ্গবার আগেই করুণাময় আল্লাহ্‌ তার সমগ্র জীবনের পাপ মাফ করে দেবেন – যদি তার পাপরাশি দুনিয়ার সমুদ্রগুলোর ফেনাপুঞ্জের সমান  ও হয়, কিংবা আলেজ ম্রুভুমির বালুকা সমষ্টির সমান ও হয়, অথবা আরবের রবিয়া বংশের মেষসমুহের লোমসস্টির সমান ও হয়। (আল হাদিস)

About the author

AHSHAN HABIB
Hello! I am Ahshan Habib. Blogging is My Hobby and I Would Like to Share my Knowledge With Everyone. Here I Will Share Every Day About Education, Technology, and Programming. So Stay With us And Share my Page on Your Social Platform.

Post a Comment